চায়ে ও গল্পে সম্রাট।
প্রশ্ন- 'বিলয়ার' ভাবনাটা কিভাবে মাথায় এলো?
সম্রাট- প্রথম আমি বোলপুরে গিয়ে ওদের কে দেখলাম, অর্থাৎ বহুরূপীদের দেখলাম। তারপরে একটা ধর্ষণ নিয়ে খবরের কাগজে আর্টিকেল বেরোয়। তুমি দেখবে পাড়ার চায়ের দোকানে কোন কিছু ঘটলে সবাই আলোচনা করে, তো ওইটা নিয়ে সবাই আলোচনা করছিল যে মেয়েরা মায়ের রূপ। তো আমি সেই গুলো শুনলাম শুনে আমি তো আমি বহুরূপী দের সঙ্গে একটা ধর্ষণের ঘটনা কে মিলিয়ে একটা গল্প তৈরি করলাম।
![]() |
'বিলয়ার' শুটিং এর সময়। |
প্রশ্ন-হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট থেকে ফিল্ম ডিরেকশন জার্নিটা কেমন ছিল?
সম্রাট- আমার জার্নিটা একটু অন্যরকম একদিকে হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট তার উপরে আবার ফিজিক্স অনার্স। তো শিল্পজগতের সঙ্গে কোনোভাবেই যোগাযোগ ছিল না। তারপর হঠাৎ মনে হল থিয়েটার করব। একটা নাটক করেছিলাম বিভাস চক্রবর্তীর দলে। তারপর ভাবলাম একটা নাটক তো দুশো থেকে তিনশো জন দেখবে। আমি থিয়েটার কে ছোট করে দেখছিনা কিন্তু আমি একটু বড় প্ল্যাটফর্ম চেয়েছিলাম। সেইখান থেকেই ফিল্ম।তো ফিল্ম নিয়ে প্রচুর পড়াশোনা করেছে কোন ইনস্টিটিউট যায়নি। কিন্তু প্রচুর বই কিনে পড়েছি আমাদের এখানে তো বই পাওয়া যায় না, ইন্ডিয়ান রাইটার দের বই খুব কম তো বিদেশী রাইটার দের বই কিনে পড়েছি।ওয়ার্ল্ড সিনেমা দেখি। মাঝখানে কিছু শর্ট ফিল্ম করেছি সেই গুলো ব্লক করে দিয়েছি, যদিও সেই গুলো কাজ শেখার ক্ষেত্রে কাজে লেগেছে। তারপরে এই প্রথম ছবি 'বিলয়া'। তারপর প্রথম ফিচার ফিল্ম শুরু করছি।
![]() |
শুটিং এর কিছু মুহূর্ত। |
প্রশ্ন-এটা তো হইচই অরিজিনালস এ স্ট্রিমিং হচ্ছে তো যোগাযোগটা কিভাবে?
সম্রাট - হইচই এর একটা মেইল এসেছিল আমার কাছে, তো আমি ওদের ফরোয়ার্ড ব্যাক করে বলেছিলাম আমার একটা ছবি আছে নেবেন? তোরা রিপ্লাই পাঠালো ছবিটা দেখবে। তো তারপর ওরা দেখল এবং ওটা ওরা নিয়ে নিল।
প্রশ্ন-যারা নতুন এই জগতে আসতে চাইছে তাদেরকে তুমি কি বলবে? ফিল্ম ইনস্টিটিউটে যাওয়ার কি প্রয়োজন আছে?
সম্রাট-অবশ্যই দেওয়ার প্রয়োজন আছে ওখানে ওরা গেলে একটা সঠিক গাইডেন্স পাবে। আমি যেমন চারটে বছর ভুল পথে নষ্ট করেছি। সেই দিক দিয়ে ওরা অনেক অ্যাডভান্স থাকবে।
প্রশ্ন- 'বিলয়া'তে দেখলাম তুমি ডি.ও.পি আর তুমি বোধহয় এডিটটা করেছো?
সম্রাট-এগুলো সবই আমি করেছি শুধুমাত্র পয়সা বাঁচানোর জন্য।
প্রশ্ন- তো কৌশিক কর এর সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন?
সম্রাট-খুব ভালো অভিজ্ঞতা ও যখন কাজটা করে তখন এই কাজটার মধ্যেই থাকে। এবং ও নিজের কিছুই ইনপুটস ও দেয়। যেগুলো ভাবনা চিন্তাতে প্রচুর কাজে লাগে।
প্রশ্ন- তো তোমার ভবিষ্যতের প্রজেক্ট গুলো নিয়ে বলো?
সম্রাট- আমার পরবর্তী যে প্রজেক্টটা আসছে সেটা একটা বানজারা ফ্যামিলিকে নিয়ে। বানজারা মনে কোন গান বাজনার ব্যাপার নয়। তুমি যদি রাত্রিবেলা কোন স্টেশনের পাশে যাও তাহলে দেখতে পাবে মশারি টানিয়ে অনেকে শুয়ে রয়েছে। এদের কোনো ঘর বাড়ি নেই। মশারিটাই এদের ঘর। এছাড়া আমি একটা শর্ট ফিল্ম করছি যেটা ১৫ ই আগস্ট রিলিজ করবে।
অনেক শুভেচ্ছা তোমার পরবর্তী প্রজেক্ট গুলোর জন্য।
Comments
Post a Comment